টাকা আদায়ে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে হাজির পাওনাদার : ঘটনায় শোরগোল

28th April 2021 5:18 pm হুগলী
টাকা আদায়ে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে হাজির পাওনাদার : ঘটনায় শোরগোল


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : হুগলীঃঃ-- টাকা আদায় করতে করোনা আক্রান্তকে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ । দাদনের টাকা ফেরত না পেয়ে ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে বসিয়ে দিয়ে গেলো পাওয়ানাদার। ঘটনায় চাঞ্চল্য বৈদ্যবাটিতে। আর এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি মাটিপাড়ার বাসিন্দা গঙ্গারাম সরকার ইটের ব্যবসা করেন। বৈদ্যবাটি নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকার ইট ভাঁটা মালিক শেষনাথ সিং এর সঙ্গে ইটের কারবার করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা দাদন দেন কয়েক মাস আগে। তার স্ত্রী জয়া সরকার করোনা আক্রান্ত হন তিন দিন আগে। চিকিৎসার জন্য টাকা ফেরত চান ইট ভাঁটা মালিকের থেকে। গঙ্গারাম বাবুর দাবী,বেশ কয়েকবার বলা সত্তেও টাকা দেননি শেষনাথ। আজকের তারিখে একটি চেক দিয়েছিলেন, তার অভিযোগ  এ্যাকাউন্টের চেক তাতে টাকা নেই। এমতাবস্থায় স্ত্রীর করোনা চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন বলেই এই কান্ড করেছেন।মালিকের হোয়াটসঅ্যাপে স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাঠিয়ে টাকা চান। কিন্তু তাও টাকা না দেওয়ায় করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে টোটোতে চাপিয়ে নিয়ে সটান হাজির হন ইট ভাঁটা মালিকের বাড়িতে। করোনা আক্রান্তের যখন সেফ হোমে থাকার কথা তখন পাওনা টাকা আদায় করতে তাকে নিয়ে হাজির হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায় বৈদ্যবাটিতে। দের ঘন্টা সেই বাড়িতে বসে থাকেন।অবশেষে দশ হাজার টাকা নিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন গঙ্গারাম। তার অভিযোগ ইটও দেয়নি টাকাও ফেরত দেয়নি শেষনাথ সিং। অন্য দিকে শেষনাথ সিং এর দাবী ইট ভাঁটা বন্ধ রয়েছে  কয়েক মাস ধরে। আর্থিক সমস্যার কথা জানানো হয়ে ছিল।  দাদনের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলা সত্ত্বেও এই কান্ড ঘটালো গঙ্গারাম। ইট ভাঁটা লাগোয়া বাড়িতে ছোটো বাচ্চা নিয়ে বাইশ জন সদস্য আছে তাদের যদি করোনা হয় তার দায় কে নেবে।করোনা আক্রান্তকে তার বাড়িতে নিয়ে আসার পর প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও পাননি বলে দাবী ইট ভাঁটা মালিকের। ঘটনায় শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক ও পুলিশে অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি। ঘটনায় আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা সাবান জল ঢেলে ধুয়ে সাফ করে গোটা বাড়ি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।